শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ কর্মকর্তা উত্তমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা কলকাতায় উদ্ধার মাংসের টুকরোগুলো এমপি আনারেরই হবে : ডিবিপ্রধান লন্ডনে পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থীদের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৪০ কারাগারে অসুস্থ বিএনপি নেতা ইশরাক যারা আত্মসমর্পণ করেননি, তাদের কী হবে শুধু আল্লাহই জানেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজাবাসীকে ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত না করা’ নিশ্চিত করার আহ্বান মিসরের প্রেসিডেন্টের সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা : মির্জা ফখরুল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রুত পুনর্গঠনে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে তাপমাত্রা ৫৩ ছুঁইছুঁই, একজনের মৃত্যু
কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: সেই নারী ও তার স্বামী বললেন- মিথ্যা জবানবন্দিও দিতে হয়েছে

কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: সেই নারী ও তার স্বামী বললেন- মিথ্যা জবানবন্দিও দিতে হয়েছে

স্বদেশ ডেস্ক:

কক্সবাজারে ধর্ষণের শিকার নারী স্বামী-সন্তানসহ গত রোববার রাতে ঢাকায় ফিরেছেন। চারদিন ট্যুরিস্ট পুলিশ হেফাজতে থাকার পর তারা যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফেরেন। গতকাল সোমবার ওই নারীর স্বামী জানিয়েছেন, কয়েক দিন নানা চাপের মধ্যে তাদের থাকতে হয়েছে। তার স্ত্রীকে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিতে হয়েছে। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে কক্সবাজার আদালতে মিথ্যা জবানবন্দিও দিতে হয়েছে।

মামলার বাদী ওই নারীর স্বামী জানান, পুলিশের তদন্তে তার আস্থা নেই। দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার যেন সুষ্ঠু তদন্ত হয়, তার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান। এ ব্যাপারে শিগগিরই ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার সবকিছু প্রকাশ করবেন বলেও জানান তিনি।

ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, মামলার আসামি আশিকের সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল না। আশিকের নেতৃত্বে প্রথমে ঝুপড়ির চায়ের দোকানে এবং পরবর্তীতে হোটেল জিয়া গেস্ট ইনে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ সময় আশিকসহ অন্যরা তাকে নির্যাতন ও মারধর করেন।

কক্সবাজার থানায় মামলা করার পর ২৩ ডিসেম্বর থেকে টানা চার দিন তারা ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে ছিলেন বলে জানান বাদী। এ সময় কারও সঙ্গে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। খাবারদাবার ঠিকমতো দেওয়া হলেও চার দিনে একবার গোসলও হয়নি তাদের। তাই তারা দ্রুত কক্সবাজার ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন।

গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২২ ডিসেম্বর শহরের কবিতা চত্বরে সংলগ্ন এক ঝুপড়ী ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামের আবাসিক হোটেলে। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও তাকে  ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চারজনের নাম উল্লেখ করে ও দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877